
csb24.com::
ব্রাজিলের বৃহত্তম শহর সাও পাওলোতে রাতভর চালানো ১১টি হামলায় কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ওসাস্কো পৌর এলাকার একটি পানশালায় চালানো হামলায় নিহত হয়েছেন ১০ জন। বিভিন্ন ঘটনাস্থলে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মুখোশধারী বন্দুকধারীদের একটি দল শহরের একটি পানশালার বাইরে গাড়ি থামিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করে চলে যায়। ওসাস্কো ও বারুয়েরি পৌর এলাকায় রাতভর এ সিরিজ হামলার ঘটনা ঘটে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে হামলাকারীরা গুলি করার আগে নিহতের নাম, পরিচয় কিংবা তাদের অতীত অপরাধের রেকর্ড জেনে নিয়েছিল। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৭ জন। সিরিজ হামলার এ ঘটনায় পুলিশের ৫০ কর্মকর্তার একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি ও বার্তা সংস্থা এএফপি। টার্গেট করেই এ হত্যাকা-ের ঘটনাগুলো ঘটানো হয়েছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখছে সাও পাওলো কর্তৃপক্ষ।
প্রতিশোধমূলক হামলার সব বৈশিষ্ট্যের সঙ্গেই এ হত্যাকা-সমূহের সাদৃশ্য রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অফ-ডিউটিতে থাকা পুলিশ সদস্য বা নজরদারি সংস্থার সদস্যরা মাদক চোরাকারবারি বা চিহ্নিত অপরাধীদের টার্গে করে এ সিরিজ হামলা চালিয়ে থাকতে পারে। গত সপ্তাহে সাও পাওলোতে দুই পুলিশ সদস্য নিহত হন। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, সাও পাওলোতে আগে যেসব ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে এবারই সবচেয়ে বেশি মানুষ নিহতের ঘটনা ঘটলো। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ বলছিলেন, আমি কখনও সাও পাওলোতে এক রাতে এতো মানুষকে নিহত হতে দেখিনি। ভিডিও ফুটেজে মুখোশ পরিহিত বন্দুকধারীদের গাি থামিয়ে ওসাস্কোর একটি বারে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে দেখা যায়। সেখানে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন। সাও পাওলোর সিকিউরিটি সেক্রেটারি আলেকজান্ডার ডি মোরায়েস বলছিলেন, এটা অত্যন্ত গুরুতর এবং এ ঘটনায় বিশেষ তদন্তের প্রয়োজন। আমরা কোন সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিচ্ছি না। এর আগে গত মে মাসে সাও পাওলোতে দায়িত্বরত এক পুলিশ সদস্য ও সাবেক এক পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। একটি ফুটবল সমর্থক ক্লাবের ৮ জনকে হত্যার তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গিয়েছিল। করিন্থিয়ান্স ফুটবল ক্লাবের সমর্থকদের বিরুদ্ধে হামলার নির্দেশের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন সাবেক পুলিশ সদস্য। ওই সমর্থকরা এপ্রিলে একটি ফুটবল ম্যাচের আগে ব্যানার তৈরি করছিল। সে সময় অকস্মাৎ বন্দুকধারীরা এসে সেখানে হামলা চালিয়ে ৮ জনকে হত্যা করে।
পাঠকের মতামত